You are currently viewing EIGRP vs OSPF Routing Protocol

EIGRP vs OSPF Routing Protocol

রাউটিং প্রোটোকল হচ্ছে এক ধরণের অ্যালগরিদম, যে অ্যালগরিদমের ব্যবহার করে রাউটার ডেস্টিনেশন নেটওয়ার্ক বা হোস্ট খুঁজে বের করে। সোর্স নেটওয়ার্ক থেকে ডেস্টিনেশন নেটওয়ার্কে যেতে যদি একাধিক রাউট (Path) থাকে তাহলে, রাউটিং প্রটোকল তার অ্যালগরিদম ব্যবহার করে অনেকগুলা নেটওয়ার্ক (Path) থেকে উত্তম পথ (Best Path) এবং স্বল্প দুরত্বের পথ (Shortest Path) খুঁজে বের করে। এমনই দুইটি রাউটিং প্রটোকলের নাম EIGRP এবং OSPF প্রটোকল। একজন ফ্রেশার হিসেবে বা যারা নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার পরিকল্পনা আছে, তাদের EIGRP এবং OSPF এর বেসিক ধারণা থাকা উচিৎ। এই পোস্টে আমরা EIGRP (Enhanced Interior Gateway Routing Protocol) এবং OSPF (Open Shortest Path First) রাউটিং প্রটোকলের মধ্যে কিছু তুলনামূলক পার্থক্য সম্পর্কে জানবো। EIGPR & OSPF উভয়ই ডায়নামিক রাউটিং প্রটোকল এবং দুই টাই IGP (Interior Gateway Routing Protocol) টাইপের প্রটোকল।

Key Differences: EIGRP vs OSPF

  • EIGRP এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে EIGRP (Enhanced Interior Gateway Routing Protocol) এবং OSPF এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে (Open Shortest Path First).
  • EIGRP একটি হাইব্রিড রাউটিং প্রটোকল যার মধ্যে ‘Link State’ এবং ‘Distance Vector’ রাউটিং প্রটোকলের বৈশিষ্ট্য (Features) আছে। অপরদিকে OSPF এর মাঝে ‘Link State’ রাউটিং প্রটোকলের বৈশিষ্ট্য (Features) বিদ্যমান।
  • EIGRP একটি Cisco কোম্পানির নিজেস্ব রাউটিং প্রটোকল যেটার আপডেট Cisco কর্তৃক প্রদান করা হয়। অপরদিকে OSPF ওপেন স্ট্যান্ডার্ড রাউটিং প্রটোকল, যেটা IETF (Internet Engineering Task Force) কর্তৃক পরিচালিত হয়।
  • উত্তম পথ (Best Path) বাছাই (Selection) করার জন্য EIGRP ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের মেট্রিক (Metric) যেমনঃ Bandwidth, Load, Delay, Reliability, MTU তার মধ্যে Bandwidth এবং Delay ডিফল্ট মেট্রিক (Metric) হিসেবে ব্যবহার করে। অপরদিকে OSPF মেট্রিক (Metric) হিসেবে ব্যবহার ‘Path Cost’ এবং এটাও ব্যান্ডউইথের সাথে সম্পৃক্ত।
  • লোড ব্যালেন্সিং (Load Balancing) এর জন্য EIGRP দুইটি আলদা আলদা ব্যান্ডউইথের লিংক ব্যবহার করতে পারে, যেটাকে বলা হয় ‘Unequal cost Load Balancing’ অপরদিকে OSPF দুইটি একই (Equal) ব্যান্ডউইথের লিংকের মাঝে লোড ব্যালেন্সিং (Load Balancing) করতে পারে, যেটাকে বলা হয় ‘Equal cost Load Balancing’ পদ্ধতি।
  • AD (Administrative Distance) ভ্যালু হচ্ছে রাউটিং প্রটোকলের অগ্রাধিকার (Priority), একটি রাউটারে যদি একসাথে একের অধিক রাউটিং প্রটোকল চলে, তাহলে কোন রাউটিং প্রটোকলকে বেশি অগ্রাধিকার (Priority), দেবে। EIGRP এর ক্ষেত্রে AD ভ্যালু যথাক্রমে 90 (Internal EIGRP) & 170 (External EIGRP) অপরদিকে OSPF এর AD (Administrative Distance) ভ্যালু হচ্ছে
  • উত্তম পথ (Best Path) বাছাই (Selection) করার জন্য অ্যালগরিদম হিসেবে EIGRP ব্যবহার করে ‘DUAL (Diffusing Update Algorithm)’ অপরদিকে OSPF ব্যবহার করে ‘Dijkstra’ অ্যালগরিদম।
  • EIGRP সর্বোচ্চ 255 Hop (256 Router) নিয়ে কাজ করতে পারে (Default 100) অপরদিকে OSPF আনলিমিটেড ‘Hop’ নিয়ে কাজ করতে পারে।
  • EIGRP প্রতি ‘5’ সেকেন্ড অন্তর অন্তর ‘Hello’ প্যাকেট মাল্টিকাস্ট অ্যাড্রেসে (224.0.0.10) সেন্ড করে, অপরদিকে OSPF প্রতি ’10 অথবা 30’ সেকেন্ড অন্তর অন্তর মাল্টিকাস্ট অ্যাড্রেসে (224.0.0.5) ‘Hello’ প্যাকেট পাঠায়।
  • রাউটিং ডিসিশনে EIGRP অধিক দ্রুত (Fast Convergence Time) কাজ করে, অপরদিকে OSPF রাউটিং ডিসিশনে EIGRP এর চেয়ে বেশি টাইম (Slow Convergence Time) ব্যয় করে।

উপরের আলোচনা সমূহ পার্থক্য আকারে নিচে টেবিল আকারে দেওয়া হয়েছেঃ

Leave a Reply